
ব্যায়ামের সঠিক সময় কোনটি
অনেকেই সন্ধ্যা বা রাতে ব্যায়াম করেন। অনেকে আবার সকালের সময়টিই শ্রেষ্ঠ ভাবেন।
‘মানুষভেদে জীবনযাপনের ধরন আলাদা হয়, কাজও ভিন্ন থাকে। তাই সময়ের ওপর ফোকাস না করে অবসর পেলে ব্যায়াম করে নেওয়া ভালো’—এমনটাই বলছিলেন ফিটনেস ট্রেইনার ও নাজিয়াহফিটের কর্ণধার নাজিয়া হাসান। একজনের জন্য যেটা সঠিক, অন্যজনের জন্য সেই ব্যায়াম সঠিক না–ও হতে পারে। এ জন্য যেকোনো ব্যায়াম শুরুর আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

সকালে ব্যায়াম করার একটি ইতিবাচক দিক হলো, সারা দিনের জন্য একটি কাজ শেষ হয়ে গেল। ব্যায়াম করতে হবে, আলাদা করে সারা দিন এ চিন্তা আর থাকল না। এ কথার সঙ্গে যোগ করে ফিটনেস ট্রেইনার ও বেঙ্গল ক্যালিস্থেনিক্সের কর্ণধার তানভীর হাসান বলেন, ‘একজন মানুষ দিনের কাজ শুরুর আগে যদি ব্যায়াম করে নেয়, তাহলে সারা দিন সে প্রচুর এনার্জেটিক থাকে। এদিকে আবার সারা দিনের কাজের পর শরীরে আলস্য ভর করে, তখন অনেকের ব্যায়ামের এনার্জি থাকে না। তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কিছুটা সময় ব্যায়ামের জন্য বরাদ্দ রাখা ভালো।’
ব্যায়াম এক বা দুই দিনের জন্য নয়, নিয়মিত করার বিষয়। যিনি যত নিয়মিত করতে পারবেন, তিনি তত উপকার পাবেন। এক দিন করলেন আর বাকি ১০ দিন করলেন না, তাহলে কিন্তু ব্যায়ামের উপকার পাওয়া যাবে না।
What is the right time to exercise?
গরম হোক বা শীত, সকাল হোক বা বিকেল, ব্যায়াম করতে হবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। যাঁদের পানিশূন্যতার সমস্যা বেশি বা ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা রয়েছে, ব্যায়ামের আগে অবশ্যই তাঁরা পানি পান করে নেবেন। ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ঠিক থাকবে এ ধরনের ড্রিংকস পান করবেন—এমন পরামর্শ দিলেন ফিটনেস কোচ রুসলান হোসেইন। দেখা গেল, সারা দিন কর্মব্যস্ত থাকার পর একজন হয়তো রাতেই সময় পাচ্ছেন। তাঁর জন্য রাতেই ব্যায়াম করা সুবিধা। তবে যাঁদের ইনসমনিয়া বা ঘুমের সমস্যা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা আছে, তাঁরা রাতে ব্যায়াম করবেন না। এ ক্ষেত্রে দিনের অন্য কোনো বেলায় ব্যায়ামের জন্য সময় বের করে নিতে হবে।
এখন থেকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে ব্যায়ামকে করে নিন নিত্যসঙ্গী। এতে শরীর ও মন দুটোই প্রফুল্ল থাকবে। বিভিন্ন রোগবালাই থেকেও মুক্ত থাকতে পারবেন আপনি।