
মিম নামের অর্থ কি
“মিম” নামটি শুনেননি এমন মানুষ বাংলাদেশে খুব কমই আছে। এই নামটি বাংলাদেশসহ মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে খুবই কমন। অনেক বাবা-মা ই তাই সন্তানের নাম রাখার জন্য “মিম” নামটি ঠিক করেন। কিন্তু মিম নামের অর্থ কি সেটা না জেনে সন্তানের নাম রাখা উচিত নয়। চলুন তাহলে এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
মিম নামটির উৎপত্তি সম্পর্কে জানা যায়নি। আরবি ভাষায় “মিম” নামক একটি অক্ষর আছে। মিম নামের অর্থ নিয়ে দ্বিমত আছে। এক মতানুসারে মিম নামটি মিরিয়াম নামের সংক্ষিপ্ত রূপ। মিরিয়াম একটি হিব্রু ভাষার শব্দ। এর অর্থ সমুদ্র বা তিক্ত, তেতো। সুতরাং মিম নামের অর্থ সমুদ্র বা তিক্ত, তেতো, একটি আরবি অক্ষর।

আপনি যেটা বলছেন, “মিম” নামের অর্থ বেশ কয়েকটি আলাদা দিক থেকে ব্যাখ্যা করা যায়:
-
আরবি অক্ষর: “মিম” (م) একটি আরবি অক্ষর, যা আরবি হরফের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অক্ষর। এটি অনেক শব্দে ব্যবহৃত হয় এবং তার বিভিন্ন অর্থ হতে পারে, যেমন “সমুদ্র” বা “মিষ্টি পানির উৎস” (মিম)।
-
অর্থের দিক থেকে: “মিম” নামের কিছু অর্থ হতে পারে:
-
সমুদ্র: আরবিতে “মিম” শব্দটি কখনও কখনও সমুদ্র বা জলধারার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
তেতো বা তিক্ত: “মিম” শব্দটি কখনো কখনো তিক্ততা বা মিষ্টির উল্টো অর্থও প্রকাশ করতে পারে, বিশেষত যদি এটি নির্দিষ্ট কোনো প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়।
-
মিম কি ইসলামিক নাম?
মিম নামটি কোনো কোরানি নাম কিনা সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আরবীতে “মিম” নামক একটি অক্ষর আছে। মিম নামের উচ্চারণ সুন্দর হলেও এর অর্থ খুব বেশি সুন্দর নয়। সন্তানের নাম মিম রাখার আগে অবশ্যই একজন বিজ্ঞ আলেমের পরামর্শ নিবেন।