
কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয়
শরীরের যত্ন বাইরে থেকে যতই নেন না কেন, সঠিক খাবারগুলো শরীরের ভেতর না পৌঁছালে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা মুশকিল। নিয়মিত ফল খেলে ভালো থাকে ত্বক।
আর এমন বেশ কিছু ফল রয়েছে যা খেলে আপনার ত্বক ভালো থাকবে। এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায় ফল দিয়ে রূপচর্চা করলে। ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘বি, ‘সি’, ‘এ’ ও অন্যান্য উপাদান ত্বককে গভীর থেকে সতেজ ও নিঁখুত করতে সাহায্য করে। জেনে নিন ফলগুলোর ব্যবহারের উপায়-
আপেল: ভিটামিন ‘এ, ‘সি, ডায়েটারি ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর ফল আপেল। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ফ্রি র্যাডিকেলস দূর করে। তাই ত্বক ভালো থাকবে।

Eating which fruit makes the skin fairer
লেবু: লেবুতে আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। এ ফলটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে পরিচিত। এটি ব্রণ দূর করতে, বয়স কমাতে, অকালে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া রোধে কাজ করে। এছাড়া শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
পেঁপে: সুস্থ রাখতে পেঁপের জনপ্রিয়তা নতুন করে বলার কিছু নেই। এছাড়াও ব্রণের সমস্যা সারিয়ে তুলতে এবং ত্বকের রংয়ের অসামঞ্জস্যতা দূর করতে বেশ উপকারী এই ফল। পেঁপে খেলে অনেক উপকার পাবেন। প্রতিদিন ৬-৮ টুকরো পাকা পেঁপে খান। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন। এছাড়া পাকা পেঁপের মাস্ক ত্বকে দিতে পারেন। তৈরি করতে প্রয়োজন হবে চটকে নেওয়া পাকা পেঁপে দুই চা-চামচ, এক চা-চামচ গ্লিসারিন এবং এক চা-চামচ গুঁড়া দুধ। উপদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেটা মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ অপেক্ষা করতে হবে। হালকা শুকিয়ে গেলে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
কলা: কলায় রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম ও প্রচুর পানি। এতে আপনার ত্বক হাইড্রেটেড থাকে এবং ব্রণের সমস্যাও কমে। ত্বকে আর্দ্রতা জুগিয়ে টানটান রাখতে সাহায্য করে কলা। তাছাড়া ত্বক পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে এই ফল। একটি কলা ভালোভাবে চটকে নিয়ে এর সঙ্গে খানিকটা মধু এবং গুঁড়া করা ওটস মিশিয়ে নিতে হবে। ১৫ মিনিট পর অল্প দুধ দিয়ে মুখ ভিজিয়ে নিয়ে আলতোভাবে ঘষে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
Eating which fruit makes the skin fairer
আম: ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’র ভালো উৎস যা ত্বকের টোনিং এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। পাকা আম ও এক চামচ ময়দা একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেটা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। হালকা শুকিয়ে গেলে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
জাম্বুরা: অন্যান্য টকজাতীয় ফলের মতো এই ফল ত্বকের পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। তৈলাক্ত এবং ব্রণযুক্ত ত্বকের জন্য জাম্বুরা বেশ উপকারী।
মাল্টা ও কমলা: শীতে নিয়মিত কমলা খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। নিঁখুত ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরেই বানাতে পারেন মাল্টা কিংবা কমলার প্যাক। এসব ফলে থাকা ভিটামিন ‘সি’ কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে। বয়সের ছাপ দূর করতেও সহায়তা করে এসব ফল। ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন ‘সি’। অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করে।
যেকোনো মাস্ক ব্যবহারের পর তা ধুয়ে ত্বক হালকা ভেজা থাকতেই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। নতুবা ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে।