ইনফো নিউজ

আবেদন পত্র লেখার নিয়ম বাংলা

আমাদের জীবনের প্রতিদিনের কার্যক্রমে কখনো না কখনো দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন হয়, হোক তা স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য বা অফিসে ছুটির আবেদন। দরখাস্ত আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু সঠিকভাবে দরখাস্ত লেখার নিয়ম না জানার কারণে, আমরা প্রায়ই ভুল করে ফেলি, যা দরখাস্তের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দিতে পারে।

এই ব্লগে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো দরখাস্ত সম্পর্কে—দরখাস্তের সঠিক সংজ্ঞা, দরখাস্ত লেখার সাধারণ নিয়মকানুন, এবং কিভাবে একটি কার্যকর বাংলা দরখাস্ত লেখা যায়। এছাড়াও, স্কুলে ছুটির দরখাস্ত এবং চাকরির জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়মসহ বিভিন্ন ধরনের দরখাস্ত লেখার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা থাকবে।

 

আমরা বিভিন্ন কাজে দরখাস্ত ব্যবহার করি, এবং কাজের প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে দরখাস্তের ধরন পরিবর্তিত হতে পারে। তবে, দরখাস্ত লেখার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, যা প্রতিটি দরখাস্তে মানা আবশ্যক। যেকোনো ধরনের দরখাস্ত লেখার সময়, আপনাকে অবশ্যই নিম্নলিখিত বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে:

তারিখ: প্রথমে বাম পাশে সঠিক তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
প্রাপকের পদবী ও ঠিকানা: এরপর যার কাছে আবেদন করা হচ্ছে, তার পদবী ও ঠিকানা সঠিকভাবে লিখতে হবে।
আবেদনের বিষয়: আবেদনের সংক্ষিপ্ত বিষয় উল্লেখ করতে হবে, যাতে প্রাপক সহজেই বুঝতে পারেন।
সম্ভাষণ: বিষয় উল্লেখ করার পরে সম্ভাষণ লিখতে হবে, যেমন “মহোদয়,” “জনাব” ইত্যাদি।
আবেদনের মূল অংশ: আবেদনের মূল অংশে, সংক্ষিপ্ত এবং গঠনমূলকভাবে আবেদন সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করতে হবে।
আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানা: শেষে, বিনীত বা নিবেদক লিখে আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানা যুক্ত করতে হবে।
দরখাস্তের কাঠামো
দরখাস্ত লেখার একটি নির্দিষ্ট কাঠামো রয়েছে, যা আনুষ্ঠানিক পত্র লেখার সময় মেনে চলা জরুরি।

  • তারিখ
  • বরাবর
  • কর্তৃপক্ষের নাম ও ঠিকানা
  • বিষয়
  • সম্ভাষণ
  • মূল বক্তব্য (এক বা দুই প্যারায় সংক্ষিপ্তভাবে)
  • বিদায় সম্ভাষণ (বিনীত/নিবেদক)
  • আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানা
  • আবেদনের বিষয় অনুযায়ী কাঠামোতে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। যেমন চাকরির আবেদনে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য যুক্ত করা হয়। তবে সাধারণ কাঠামো সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

কি কি বিষয়ে আবেদন পত্র লেখা হয়?

দরখাস্ত বিভিন্ন উদ্দেশ্যে লেখা হতে পারে, যেমন:

  • ছুটির জন্য আবেদন
  • স্কুল বা অফিসে অনুপস্থিতির জন্য
  • জরিমানা মওকুফের জন্য
  • উপবৃত্তির জন্য আবেদন
  • ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য
  • চাকরি বা চাকরি ছাড়ার জন্য আবেদন
  • সরকারি বা প্রশাসনিক সুবিধা পাওয়ার জন্য, যেমন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন

কিভাবে একটি আবেদন পত্র লিখবেন উদাহরণস্বরূপ দেওয়া হলো?

 

বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
রোজ আইডিয়াল হাই স্কুল,
চেন্নাই, ভারত।

বিষয়: অনুপস্থিতির জন্য আবেদন।

মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। আমি গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অসুস্থতার কারণে স্কুলে অনুপস্থিত ছিলাম। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন ছিল। তাই আমার অনুপস্থিতি ক্ষমা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

অতএব, আমার অনুপস্থিতি যেন ক্ষমা করা হয়, সে বিষয়ে আপনার সদয় অনুমোদনের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

বিনীত,
নিবেদক,
ইসমাম হাসান
নবম শ্রেণি, রোল নম্বর:  01
রোজ আইডিয়াল হাই স্কুল, বরিশাল

আশা করছি আজকের এই পোস্ট থেকে শিখতে পারবেন

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button