স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি

বাংলা ভাষার অক্ষর ও বর্ণমালা ব্রাহ্মীলিপি থেকে নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে এসেছে।তবে, বাংলাভাষার বলিষ্ঠ রূপদান করার জন্য উনিশ শতকের প্রথম থেকেই শুরু হয়। তবে 1821 খ্রিস্টাব্দে একটা মোটামুটি পর্যায়ের মধ্য এনেছিলেন তদানীন্তন শিক্ষাবিদ রাধাকান্ত দেব তাঁর লেখা ‘বাঙ্গালা শিক্ষাগ্রন্থ’ নামক এক গ্রন্থের মাধ্যমে।
স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি
বাংলা বর্ণমালা মোট ৫০ টি। বাংলা বর্ণমালার ভিতরে রয়েছে ১১ টি স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯ টি। নিচে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ উল্লেখ করা হলো
স্বরবর্ণ
অ আ ই ঈ উ
ঊ ঋ ৯ এ ঐ ও ঔ
ব্যঞ্জনবর্ণ
ক খ গ ঘ ঙ
চ ছ জ ঝ ঞ
ট ঠ ড ঢ ণ
ত থ দ ধ ন
প ফ ব ভ ম
য র ল শ ষ
স হ ড় ঢ় য়
ৎ ং ঁ ঃ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা বর্ণমালা ও গদ্য সাহিত্যের জনক।
(1) প্রথমেই তিনি বাংলা স্বরবর্ণে সংস্কৃত ভাষার স্বরবর্ণ থেকে দীর্ঘ ঋ এবং দীর্ঘ ঌ বাদ দিলেন। এর ফলে আমরা এই দুই বর্ণের ব্যবহার এবং বর্ণমালায় তা দেখি না। এই দুটো বর্ণ বিদ্যাসাগর বাংলা বর্ণমালা বাদ দিলেন।
(2)আগে ড কিম্বা ঢ প্রথমে থাকলে একই উচ্চারণ হ’ত এবং পরে বা মধ্যে থাকলে তার উচ্চারণ হ’ত ড় ও ঢ়। বিদ্যাসাগর ঐ সমস্ত ঝামেলায় না গিয়ে ড় ও ঢ় ক’রে পৃথক ক’রে নিজের ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ করলেন এবং বাঙালীদের ভাষা চয়নে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিলেন।
(3) ব্যঞ্জনবর্ণে য় বর্ণকে যোগ করলেন, যা সংস্কৃত ভাষায় নাই। তার আগে ‘য’ – এর উচ্চারণ হ’ত ‘ইয়’। এই নীতি সংস্কৃত ভাষার ন্যায় হিন্দী ভাষায় এখনও প্রচলিত।