ধর্ম

সকাল সন্ধ্যার ১০ টি আমল

10 morning and evening rituals

সকাল সন্ধ্যার ১০ টি আমল

আল্লাহ তাআ’লার সন্তুষ্টি লাভের দোয়া:

رَضِيْتُ بِاللهِ رَبـاًّ، وَبِاْلإِسْلاَمِ دِيْنـًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيـًّا

বাংলা উচ্চারণ: “রাদ্বীতু বিল্লাহি রব্বাওঁ ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনাওঁ ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা।”

অর্থ: আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট।

ফজিলত: যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যা তিনবার এ দোয়া পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তাকে সন্তুষ্ট করবেন। -সুনানে তিরমিযী : ৩৩৮৯

জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া:

বাংলা উচ্চারণ:

“আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান্ নার।”

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করুন।

ফজিলত: যদি কেউ মাগরিবের নামাজ শেষ করে সাতবার এই দোয়াটি পাঠ করে এবং ঐ রাতেই তার মৃত্যু হয় তবে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। এমনিভাবে যদি ফজরের পর পাঠ করে এবং ঐ দিন তার মৃত্যু হয় তাহলে সে জাহান্নামে থেকে মুক্তি পাবে। -সুনানে আবু দাউদ: ৫০৭৯

সকাল সন্ধ্যার ১০ টি আমল
সকাল সন্ধ্যার ১০ টি আমল

সকল বালা-মুসিবত থেকে হেফাজতের দোয়া:

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ».

বাংলা উচ্চারণ: “বিসমিল্লাহিল্লাজী লা ইয়াদুররু মাআ’ছমিহী- শাইঊন ফিল আরদি ওয়ালা ফিছ্ছামাই ওয়াহু ওয়াছ ছামীউল আলীম।”

অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি, যার নামে শুরু করলে আসমান-জমিনের কোন বস্তু ক্ষতি সাধন করতে পারে না। আর তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ।

ফজিলত: হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা তিনবার উপরোক্ত দোয়াটি পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে আসমানি-যমিনি সকল মুসীবত থেকে হেফাজত করবেন। -সুনানে আবুদাউদ : ৫০৮৮

সকল দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি থেকে মুক্তির দোয়া:

«حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيهِ تَوَكَّلتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ»

বাংলা উচ্চারণ: “হাসবিআল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুয়া রব্বুল আরশিল আজীম।” -সুরা তাওবা : ১২৯

অর্থ: আমার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট, যিনি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। আমি তাঁর ওপর ভরসা করলাম। আর তিনিই মহান আরশের অধিপতি।

ফজিলত: যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা এ আয়াতটি সাতবার পাঠ করবে তাকে সকল পেরেশানী থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলা যথেষ্ট হবেন। -সুনানে আবূ দাঊদ : ৫০৮১

মাখলুকের অনিষ্ট থেকে হেফাজতের দোয়া:

«أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ».

বাংলা উচ্চারণ: “আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত তা-ম্মা-তি মিন শাররি মা খালাক্ব।”

অর্থ: আমি আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমাসমূহের দ্বারা যাবতীয় সৃষ্টির অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।

ফজিলত: যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল উক্ত দোয়া তিনবার পাঠ করবে সে সকল কষ্টদায়ক প্রাণী থেকে হেফাজতে থাকবে। যদি বিষাক্ত কিছু তাকে দংশন করে তবুও তার কোন ক্ষতি হবে না। -সহিহ মুসলিম : ২৭০৯

বিশ লক্ষ নেকি লাভের দোয়া:

বাংলা উচ্চারণ: “লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শরীকালাহু আহাদুন সামাদুন লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।”

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। তিনি একক। তাঁর কোন অংশিদার নেই। তিনি এক, অমুখাপেক্ষী, সন্তান জন্ম দেননি, কারো থেকে জন্ম হননি, আর কেউ তাঁর সমকক্ষ নয়।

ফজিলত: হযরত আব্দুল্লাহ বিন আউফা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি একবার এই কালিমা পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে বিশ লক্ষ নেকি দান করবেন । -মাজমাউয যাওয়ায়েদ : ১৬৮২৭

অবশ্য লক্ষ লক্ষ নেকী সম্পর্কে যে হাদীস সমূহ বর্ণিত রেয়েছে, সেসব হাদীসের অধিকাংশকে সনদ হিসেবে উলামায়ে কেরাম যঈফ (দুর্বল) বলেছেন।

হযরত তামীম দারী রাযি থেকে বর্ণিত,

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الخَلِيلِ بْنِ مُرَّةَ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﺯْﻫَﺮِ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺗَﻤِﻴﻢٍ ﺍﻟﺪَّﺍﺭِﻱِّ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣَﻦْ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻟَﺎ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ، ﺇِﻟَﻬًﺎ ﻭَﺍﺣِﺪًﺍ ﺃَﺣَﺪًﺍ ﺻَﻤَﺪًﺍ، ﻟَﻢْ ﻳَﺘَّﺨِﺬْ ﺻَﺎﺣِﺒَﺔً ﻭَﻟَﺎ ﻭَﻟَﺪًﺍ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَﻪُ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺃَﺣَﺪٌ، ﻋَﺸْﺮَ ﻣَﺮَّﺍﺕٍ ﻛَﺘَﺐَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻪُ ﺃَﺭْﺑَﻌِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺃَﻟْﻒِ ﺣَﺴَﻨَﺔٍ ) .” ﻫَﺬَﺍ ﺣَﺪِﻳﺚٌ ﻏَﺮِﻳﺐٌ ، ﻻَ ﻧَﻌْﺮِﻓُﻪُ ﺇِﻻَّ ﻣِﻦْ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﻮَﺟْﻪِ ، ﻭَﺍﻟﺨَﻠِﻴﻞُ ﺑْﻦُ ﻣُﺮَّﺓَ ﻟَﻴْﺲَ ﺑِﺎﻟﻘَﻮِﻱِّ ﻋِﻨْﺪَ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺍﻟﺤَﺪِﻳﺚِ ، ﻗَﺎﻝَ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺇِﺳْﻤَﺎﻋِﻴﻞَ : ﻫُﻮَ ﻣُﻨْﻜَﺮُ ﺍﻟﺤَﺪِﻳﺚِ .”

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দশ বার নিম্নোক্ত দু’আ পড়বে, “আশহাদু আন-লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু,ইলাহান ওয়াহিদা, আহাদান, সামাদান, লাম ইয়াত্তাখিয সাহিবাতান ওয়ালা ওয়ালাদা,ওয়া লাম ইয়াকুন লাহু কুফুওয়ান আহাদা” – আল্লাহ তাআ’লা তার জন্য চার কোটি নেকী লিখে রাখবেন। ইমাম তিরমিযি রাহ বলেন, এটা সনদের দিক দিয়ে গারীব পর্যায়ের একটা হাদীস। তিনি বলেন, উপরোক্ত সনদ ব্যতীত অন্য কোনো সনদে এই হাদীস আমি পাইনি এবং খলিল ইবনে মুররাহ মুহাদ্দিসগণের নিকট তত শক্তিশালী নয়। ইমাম বোখারী রাহ. বলেন, খলিল ইবনে মুররাহ মুকারুল হাদীস রাবীদের অন্তর্ভুক্ত। -সুনানে তিরমিযি-৩৪৭৩ মসনদে আহমদ-১৬৯৫২ তাবারানি-১২৭৮

অন্য এক বর্ণনায় উপরোক্ত দু’আ পড়লে বিশ লাখ নেকির কথা বর্ণিত রয়েছে। -তারিখে ইবনে আসাকির-৩৮/২৯৯

হালাল রুজি ও ঋণ পরিশোধের দোয়া:

বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মাক ফিনী বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনী বিফাদলিকা আম্মান ছিওয়াক।”

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হালাল রিজিক দিয়ে হারাম থেকে হেফাজত করুন, এবং আপনার বিশেষ অনুগ্রহে অন্যদের থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী বানিয়ে দিন।

ফজিলত: কেউ যদি এই দোয়াটি পড়ে তাহলে তার ওপর পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তা‘আলা তা আদায় করে দিবেন। -সুনানে তিরমিযি : ৩৫৬৩

ঋণ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির আমল:

বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল হাম্মী, ওয়াল হুযনি, ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজযি, ওয়াল কাছালি, ওয়া আউযুবিকা মিনাল বুখলি, ওয়াল জুবনি, ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি, ওয়া ক্বাহরির রিজাল।”

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি থেকে, আরও আশ্রয় নিচ্ছি অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, আরও আশ্রয় নিচ্ছি কৃপণতা ও কাপুরুষতা থেকে আরো আশ্রয় নিচ্ছি ঋণের প্রবলতা ও মানুষের চাপপ্রয়োগ থেকে।

ফজিলত: যে ব্যক্তি উক্ত দোয়াটি সকাল-সন্ধ্যা পাঠ করবে আল্লাহপাক তার সমস্ত ঋণ ও দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন। -সুনানে আবূদাউদ : ১৫৫৫

আয়াতুল কুরসী:

اَللّٰهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا ھُوَ ۚ اَلْـحَيُّ الْقَيُّوْمُ ڬ لَا تَاْخُذُهٗ سِـنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ ۭ لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ ۭ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗٓ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ۭ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَھُمْ ۚ وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖٓ اِلَّا بِمَا شَاۗءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِـيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ وَلَا يَـــــُٔـــوْدُهٗ حِفْظُهُمَا ۚ وَھُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ ٢٥٥؁ ﴾.

বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কায়্যূম, লা-তা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাউম। লাহু মা-ফিস্ সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল্ আরদি, মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লা বি ইয্নিহি। ইয়া’লামু মা- বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খল্ফাহুম ওয়ালা ইউহীতূনা বিশাইয়িম্ মিন ইল্মিহী ইল্লা- বিমা শা-আ। ওয়াসিআ কুরসিয়্যুহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা ওয়ালা ইয়াঊদুহু হিফযুুহুমা,ওয়াহুওয়াল আলিয়্যুল আযীম।”

ফজিলত: হযরত আবু উমামা রাদি. থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশ করায় মৃত্যু ব্যতীত আর কোন কিছু অন্তরায় থাকবে না। -মু‘জাম তাবারানি : ২৮২২

সকল অনিষ্ট ও বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়:

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ۝ ﴿قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ ۝ۚ اَللّٰهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ ڏ وَلَمْ يُوْلَدْ ۝ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ۝ۧ﴾،

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ۝ ﴿قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ۝ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ۝ وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۝ وَمِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِي الْعُقَدِ ۝ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ۝﴾،

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ۝ ﴿قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۝ مَلِكِ النَّاسِ ۝ اِلٰهِ النَّاسِ ۝ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ڏ الْخَنَّاسِ ۝ الَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ ۝ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ۝ۧ﴾

আব্দুল্লাহ ইবনে খুবাইব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক বর্ষণমুখর অন্ধকার রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুঁজতে বের হলাম যেন তিনি আমাদের নিয়ে নামায পড়েন। তাঁর সাথে যখন সাক্ষাৎ হল তিনি বললেন, ‘قل’ বল। আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি আবার বললেন, ‘قل ’ বল। আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি আবার বললেন, ‘قل’ বল। আমি আরজ করলাম, আল্লাহর রাসূল! কী বলব? তিনি বললেন

قل هو اللَّه أحد ، والمعوذتين حين تمسي وحين تصبح ، ثلاث مرات تكفيك من كل شيء

‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ ও ‘মুয়াওয়াযাতাইন’ সন্ধ্যায় ও সকালে, তিনবার। এ (সূরাগুলো) সব কিছু থেকে তোমার হেফাযতের জন্য যথেষ্ট হবে। -মুসনাদে আহমাদ ৫/৩১২; সুনানে আবু দাউদ, আদব অধ্যায়; হাদীস ৫০৮২; জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫৭৫

ফায়েদা: এ হাদীসে পাওয়া গেল যে, সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার করে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করা সকল অনিষ্ট ও বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়।

সাইয়্যিদুল ইসতিগফার:

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِر لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা খালাক্বতানী ওয়া আনা আব্দুকা ওয়া আনা আলা- আহ্দিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাস্তাতা’তু আঊ-যুবিকা মিন শাররী মা সানা’তু আবূউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবূউ বিযান্বি ফাগ্ফিরলী ফাইন্নাহু লা ইয়াগ্ফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আন্তা।”

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রতিপালক। আপনি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আর আমি আপনার গোলাম। আমি আপনার ওয়াদা-প্রতিশ্রুতির ওপর আছি যথাসম্ভব। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি আমার উপর আপনার অনুগ্রহ স্বীকার করছি। আবার আমার গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দিন। কারণ, আপনি ব্যতীত আর কেউ গুনাহসমূহ ক্ষমা করতে পারবে না।

ফজিলত: হযরত শাদ্দাদ বিন আওস রাদি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের শুরুতে সাইয়্যিদুল ইস্তেসফার পাঠ করবে, সে ঐ দিনে ইন্তিকাল করলে জান্নাতী হবে, আর যদি সন্ধ্যায় পাঠ করে এবং এ রাতেই তার ইন্তিকাল হয়, তাহলে সে জান্নাতী হবে। -সহিহ বুখারী : ৬৩০৬

দুনিয়া ও আখিরাতের প্রশান্তির জন্য দোয়া (১ বার):

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ: فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي، وَمَالِي، اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي، وَآمِنْ رَوْعَاتِي، اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَينِ يَدَيَّ، وَمِنْ خَلْفِي، وَعَنْ يَمِينِي، وَعَنْ شِمَالِي، وَمِنْ فَوْقِي، وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي».

বাংলা উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল- ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আ-খিরাতি। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল-‘আ-ফিয়াতা ফী দ্বীনী ওয়াদুনইয়াইয়া, ওয়া আহ্‌লী ওয়া মা-লী, আল্লা-হুম্মাসতুর ‘আওরা-তী ওয়া আ-মিন রাও‘আ-তি। আল্লা-হুম্মাহফাযনী মিম্বাইনি ইয়াদাইয়্যা ওয়া মিন খালফী ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়া শিমা-লী ওয়া মিন ফাওকী। ওয়া আ‘ঊযু বি‘আযামাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহ্‌তী।

অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা এবং নিরাপত্তা চাচ্ছি আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার ও অর্থ-সম্পদের। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন, আমার উদ্বিগ্নতাকে রূপান্তরিত করুন নিরাপত্তায়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেফাযত করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পিছনের দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আর আপনার মহত্ত্বের অসিলায় আশ্রয় চাই আমার নীচ থেকে হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া থেকে”।

ফায়দা: ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্ধ্যায় ও সকালে উপনীত হয়ে নিম্নোক্ত দোয়া পড়তেন। -আবূ দাউদ, নং ৫০৭৪; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩৮৭১। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্‌ ২/৩৩২, নাসায়ী ৫৫২৯, ৫৫৩০, তাখরীজুল কালিমুত তায়্যিব ২৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ, দোআ ও যিকির (হিসনুল মুসলিম)

বিষধর প্রানীর ক্ষতি থেকে নিরাপত্তার দোয়া (৩ বার):

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

বাংলা উচ্চারণ: (আ‘ঊযু বি কালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মা-তি মিন শাররি মা খালাক্ব)।

অর্থ: “আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।”

ফযিলত ১: যে ব্যক্তি বিকাল বেলা এই দোয়াটি ৩ বার পড়বে, সে রাতে কোন বিষধর প্রানী তার ক্ষতি করতে পারবে না। -আহমাদ ২/২৯০, নং ৭৮৯৮; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নং ৫৯০; ইবনুস সুন্নী, নং ৬৮; আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৮৭; সহীহ ইবন মাজাহ ২/২৬৬; তুহফাতুল আখইয়ার লি ইবন বায, পৃ. ৪৫, দোআ ও যিকির (হিসনুল মুসলিম)

ফযিলত ২: খাওলা বিনতুল হাকীম আস-সুলামিয়াহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন লোক যদি কোন জায়গায় অবতরণ করে উপরের দোয়াটি পড়ে, সে উক্ত জায়গা ত্যাগ করা পর্যন্ত কোন কিছুই তার অনিষ্ট করতে পারবে না। -সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] ৩৪৩৭ | ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৫৪৭), মুসলিম।

দশটি দাসমুক্তির সওয়াব, একশত সওয়াব এবং শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া (১০০ বার):

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

(বাংলা উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।

অর্থ: “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।”

ফযিলতঃ আবূ আয়্যাশ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে উপনীত হয়ে এই দোয়া পড়ে এটা তার জন্য ইসমাঈল (আঃ) বংশীয় একটি গোলাম আযাদ করার সমান হবে, তার জন্য দশটি পুণ্য হবে ও দশটি পাপ মোচন করা হবে এবং তার দশটি মর্যাদা বুলন্দ করা হবে এবং শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে যতক্ষণ না সন্ধ্যা হয়। আর যদি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে তা বলে, তাহলে ভোর পর্যন্ত অনুরূপ ফাযীলাত পাবে। বর্ণনাকারী হাম্মাদ (রহঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছেঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে স্বপ্নে দেখে প্রশ্ন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! আবূ আয়্যাশ (রাঃ) আপনার নামে এই এই বলেছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আবূ আয়্যাশ সত্যিই বলেছে। -আবূ দাউদ, নং ৫০৭৭; বুখারী, নং ৩২৯৩; ইবন মাজাহ, নং ৩৭৯৮; আহমাদ নং ৮৭১৯; মুসলিম, নং ২৬৯১, দোআ ও যিকির, হিসনুল মুসলিম

আপনি অল্প সময়ে আরো যেসব আমল করতে পারেনঃ

সূরা ফাতিহা ৩ বার পড়তে পারেন। কেউ কেউ হিসাব কষে দেখিয়েছেন যে, একবার সূরা ফাতিহা পড়লে ৬০০ টিরও বেশি নেকি পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি তিনবার সূরা ফাতিহা পাঠ করেন তবে আল্লাহর ইচ্ছায় ১৮০০ এর বেশি নেকি হাসিল করবেন।

আপনি সূরা ইখলাস (ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ) ২০ বার পড়তে পারেন। এই সূরা একবার পাঠ করলে কুরআন শরীফের এক তৃতীয়াংশ পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি এ সূরাটি ২০ বার পাঠ করেন তবে তা ৭ বার কুরআন পড়ার সমতুল্য। অতএব আপনি যদি এ সূরাটি প্রতিদিন এক মিনিটে ২০ বার পাঠ করেন তবে মাসে আপনার ৬০০ বার পাঠ করা হয় এবং বছরে ৭২০০ বার পাঠ করা হয়। যার সওয়াব ২৪০০ বার সম্পূর্ণ কুরআন পড়ার সমতুল্য।

অল্প সময়ে অধিক সাওয়াব লাভের আরও কিছু আমল:

لَا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

এর সওয়াব ইসমাঈল (আঃ) এর বংশের ৮ জন দাসকে আল্লাহর ওয়াস্তে মুক্ত করার সমান।

এছড়া, আপনি এক মিনিটে سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِه ১০০ বার পড়তে পারেন। যে ব্যক্তি দিনে এই দোয়াটি ১০০ বার পড়ে তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমান হয় না কেন।

এরপরে আপনি سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ ও سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ এক মিনিটে কম করে হলেও ৫০ বার পড়তে পারেন। এ দুটি এমন বাক্য যা পড়তে খুব সহজ; আমলের পাল্লাতে অনেক ভারী হবে; রহমানের নিকটে অতি প্রিয়; যেমনটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “সুব্হানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার পাঠ করা যা কিছুর উপর সূর্য উদিত হয়েছে সবকিছু থেকে আমার নিকট অধিক প্রিয়।” -হাদিসটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম ২৬৯৫

আপনি বাক্যগুলো এক মিনিটে ১৮ বারের বেশি পড়তে পারেন। এ বাক্যগুলো আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়। এগুলো সর্বোত্তম কথা এবং আমলের পাল্লাতে এগুলোর ওজন অনেক বেশি হবে। যেমনটি এ মর্মে বর্ণিত সহীহ হাদিসসমূহে এসেছে ।

আপনি لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ (অর্থ- কোন উপায়-সামর্থ্য নেই, কোন শক্তি নেই আল্লাহ ছাড়া) এক মিনিটে ৪০ বারের বেশি পড়তে পারেন। এ বাক্যটির সওয়াব জান্নাতের জন্য সঞ্চিত অমূল্য রত্ন; যেমনটি বর্ণিত হয়েছে সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে। একইভাবে এটি কষ্টসাধ্য দায়িত্ব বহন ও কঠিন কাজসমূহ আঞ্জাম দেয়ার ক্ষেত্রে এক মহৌষধ।

আপনি لاَ إِلَهَ إِلاَّ الله (অর্থ- আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই) এক মিনিটে প্রায় ৫০ বার পড়তে পারেন। এটি সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য ও তাওহীদের বাণী। এটি কালিমায়ে তাইয়্যেবা (উত্তম বাণী) ও সুদৃঢ় বাক্য। যে ব্যক্তির শেষ কথা হবে এই বাক্য তিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন। এছাড়াও এর ফজিলত ও মর্যাদার ব্যাপারে আরও অনেক বর্ণনা রয়েছে।

আপনি سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَى نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ (আল্লাহর পবিত্রতা ও প্রশংসা তাঁর সৃষ্টিকুলের সংখ্যার সমান, তাঁর সন্তুষ্টির সমান, তাঁর আরশের ওজনের সমান, তাঁর বাক্যমালার কালির সমান) এ দোয়াটি এক মিনিটে ১৫ বারের বেশি পড়তে পারেন। সাধারণ তাসবীহ ও যিকিরের চেয়ে এ বাক্যগুলো পাঠ করার সওয়াব অনেকগুণ বেশি যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে সহীহ হাদিসে সাব্যস্ত হয়েছে।

আপনি এক মিনিটে আল্লাহর কাছে ১০০ বারের বেশি ইসতিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন তথা أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ পড়তে পারেন। এর ফজিলত আপনার অজানা নয়। এটি ক্ষমা প্রাপ্তি ও জান্নাতে প্রবেশের উপায়। এটি সুখময় জীবন, শক্তি বৃদ্ধি, বিপদ-আপদ রোধ, সকল কাজ সহজীকরণ, বৃষ্টি বর্ষণ, সম্পদ ও সন্তানের বৃদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যম।

আপনি এক মিনিটে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ৫০ বার দরূদ পাঠ করতে পারেন। শুধু পড়বেন “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”। এর প্রতিদানে আল্লাহ আপনার উপর ৫০০ বার সালাত (রহমত) পাঠাবেন। কারণ একবার দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ ১০ বার এর প্রতিদান দেন।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা আমাদের আমলের তাওফিক দান করুন।

সকাল সন্ধ্যার ১০ টি আমল

10 morning and evening rituals

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button