রেস্তোরাঁগুলো কি এখন বন্ধ হয়ে যাবে ,ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) যেসব ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই, সেই সব ভবনে থাকা রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে।
সাধারণ রেস্তোরাঁমালিকেরা বলছেন, বৈধভাবে রেস্তোরাঁ করা অত্যন্ত কঠিন করে রেখেছে সরকার। এ কারণেই বেশির ভাগ রেস্তোরাঁ এত সব অনুমোদন দিতে পারে না। এর সুযোগ নেন অসাধু কর্মকর্তারা।
রেস্তোরাঁগুলো কি এখন বন্ধ হয়ে যাবে ,ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
সোমবার এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এখন শত শত রেস্তোরাঁ সংকটে পড়েছে। মালিকেরা বুঝতে পারছেন না, এখন কী হবে।
জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের পর এখন তাঁরা এসব রেস্তোরাঁ বন্ধ করার উদ্যোগ নেবেন। এ জন্য ব্যবসায়ীদের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সময়সীমা ঠিক করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তাঁরা চিন্তাভাবনা করবেন।
ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না ; বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান
ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের পর করপোরেশন কী করবে, জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে আলাপ–আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় কতগুলো রেস্তোরাঁ আছে, তা হিসাব করার চিন্তা চলছে।
বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ আইন অনুযায়ী, রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রসহ নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে প্রথমে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় থেকে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করার জন্য নিবন্ধন (অনুমতি) নিতে হয়। এই নিবন্ধন পাওয়ার পর ডিসির কার্যালয় থেকেই রেস্তোরাঁ ব্যবসার লাইসেন্স (সনদ) নিতে হয়। আইন অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাইয়ের পর এক বছরের মধ্যেই ডিসির কার্যালয় লাইসেন্স দেবে নিবন্ধন পাওয়া রেস্তোরাঁকে।
আরো পড়ুন : বিএনপি একটি বড় দল, তাদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি: সারজিস আলম