জাতীয়রাজনীতি

আওয়ামী লীগের মৃত্যু ঢাকায়, দাফন দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন আহমেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ঢাকায় আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে, আর দাফন হয়েছে দিল্লিতে।

সোমবার রাজধানীর রমনার বটমূলে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের মৃত্যু ঢাকায়, দাফন দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন আহমেদ

 

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ছাত্র-জনতাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিহাস হয়ে থাকবে। বৈশাখী শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তা এসব আমাদের সংস্কৃতির অংশ, যা নষ্ট করার জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন শুরু করে আওয়ামী লীগ। এ দেশে সব জাতি ধর্মের মানুষ একসঙ্গে এসব সংস্কৃতি পালন করবে, এর মধ্যে ধর্ম চর্চাকে আনা যাবে না। যারা সংস্কৃতিকে নষ্ট করবে তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। এ সময় বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করে ভারতীয় সংস্কৃতি বর্জনের আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিগত ১৫ বছর পরিকল্পিতভাবে একটি দেশের সংস্কৃতি এ দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। সকালে রাজধানীর পরীবাগ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শুভ নববর্ষ উপলক্ষ্যে এ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সতীর্থ স্বজন।

তিনি বলেন, এমনকি এই পহেলা বৈশাখে মুখোশের আড়ালে আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হতো। এমনকি দাড়ি-টুপি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করা হতো, দাড়ি-টুপি পরা সব মানুষ কি খারাপ? না।

জুলাই ছাত্রদলের কথা স্মরণ করে রিজভী বলেন, তুমুল আন্দোলন চলছে, আমি কারাগারে। সেখান থেকে শুনছি, তারুণ্যের উদ্দীপনা, তেজ। পুলিশ বলছে, ‘গুলি করি একটা পড়ে যায়, আবার সেখানে এসে আরেকজন দাঁড়ায়’। এই উদ্দীপনা দিয়েছে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের গান, লেখা, অনেক কবির লেখনীর মাধ্যমে। যার জন্য আমাদের ১৬ বছরের লড়াই, সেটি আমরা নিশ্চিত করি। সেই গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করা নিয়ে কোনো টালবাহানা করা যাবে না। এই শুভ নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে দেওয়া। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল।

সংস্কার প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ভোটাধিকারকে কেন সংস্কারের সঙ্গে এক করে দেখা হচ্ছে, গণতন্ত্র মানেই সংস্কার। গণতন্ত্র হচ্ছে প্রবাহমান খরস্রোত নদীর মতো। এখানে কর্তৃত্ববাদের কোনো জায়গা নেই, আর যেখানে কর্তৃত্ববাদের জায়গা নেই সেখানেই গণতন্ত্র বয়ে যায়। সংস্কার হচ্ছে বয়ে যাওয়া।

আরো পড়ুন : র্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা : স্বৈরাচারের মুখাকৃতি’সহ যেমন ছিল আয়োজন

Facebook Page Link

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button